ছবিটি যথাসময়ে ক্রাউন টকি হাউসে মুক্তি পেয়েছিল।'ম্যাডান থিয়েটার্স লিমিটেড কর্তৃক সর্বপ্রথম ভারতীয় সবাক চিত্র কলিকাতায় গৃহীত প্রকাশিত ও ক্রাউন টকি হাউসে প্রদর্শিত শনিবার ১৪ই মার্চ সন ১৯৩১।'
১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের দিকে জেজে ম্যাডান সবাক ছায়াছবি তৈরির দিকে নজর দেন।
এই ছবিটি তৈরি করা হয়েছিল পরীক্ষামূলকভাবে।
কাহিনি চিত্র না হলেও- বাংলা ভাষায় তৈরি মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম ভারতীয়
সবাক চলচ্চিত্র ছিল 'জলসা'। ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৪ মার্চ ক্রাউন টকি হাউজে
প্রথম বাংলা সবাক চলচ্চিত্র 'জলসা' মুক্তি পায়। উল্লেখ্য, ১৯৩১ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই
মার্চ মুম্বাই-তে মুক্তি পেয়েছিল 'আলম আরা'। এক দিন পরে মুক্তি পাওয়ার
সূত্রে ভারতীয় প্রথম সবাক চলচ্চিত্রের তালিকায় 'আলম আরা'
জলসার প্রচার পুস্তিকায় একটি গান পাওয়া যায়। ব্রহ্মমোহন ঠাকুর তাঁর 'নানা
নজরুলের মালা' গ্রন্থে গানটি নজরুলের রচিত বলে অনুমান করেছেন। এই গ্রন্থে প্রচার
পুস্তিকার যে বিবরণ দেওয়া হয়েছে, তা হলো-
(১) মন্দির সোপানে জলসা হিন্দুনারীগণ কর্ত্তৃক বন্দনা-গীত
(২) নহবৎ বাদ্য
(৩) কালীঘাটের কয়েকটি দৃশ্য
(৪) বিদ্যালয়ের ছাত্রীগণ কর্ত্তৃক সঙ্গীত
(৫) 'মহাভারত' নাটকের একটি দৃশ্য- মাস্টার মোহন ও দাদাভাই
(৬) কাজী নজরুলের আবৃত্তি- 'নারী'
(৭) ফ্রেন্ডস্ সার্কল জলতরঙ্গ কর্ত্তৃক- ঐক্যতান
(৮) মাস্টার নিশার কর্ত্তৃক সঙ্গীত
(৯) গিরিশচন্দ্রের 'প্রফুল্ল' হইতে একটি দৃশ্যে, যোগেশ-দানীবাবু
(১০) শচীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় এম.এ কর্ত্তৃক 'মদন ভষ্মের' আবৃত্তি
(১১) তারক বাগচী, ব্রজ পাল ও সখিগণের নৃত্যগীত
(১২) সঙ্গীত-শ্রীগোপালচন্দ্র সেনগুপ্ত
(১৩) কোরিন্থিয়ান থিয়েটারের সখীগণ কর্ত্তৃক নৃত্য-গীত
(১৪) বাউল সঙ্গীত-প্রোঃ ক্ষিরোদগোপাল মুখোপাধ্যায়
(১৫) 'কৃষ্ণকান্ত উইলের' একটি দৃশ্যে- দুর্গাদাস, ইন্দু ও সরযূ
(১৬) 'জয়দেব' হইতে কৃষ্ণচন্দ্র দে (অন্ধ গায়ক) কর্ত্তৃক সঙ্গীত
(১৭) মুন্নীবাঈ কর্ত্তৃক কীর্ত্তন
(১৮) 'ভারতীয় বালক' নাটকের একটি দৃশ্যে- মাস্টার মোহন ও মিস্ কুপার
(১৯) ব্রজেন্দ্র গাঙ্গুলী কর্ত্তৃক সঙ্গীত
(২০) কোরিন্থিয়ান থিয়েটারের সখীগণ কর্ত্তৃক- ঘোমটার ভেতরে খেমটা নাচ
(২১) 'পাগলের আহ্বান' -নৃত্য, গীত ও আবৃত্তি-শ্রী অমরেন্দ্র চৌধুরী
(২২) সঙ্গীত- কাজী নজরুল ইসলাম
(২৩) নৃত্যগীত-তারক বাগচী, ব্রজ পাল ও সখীগণ
(২৪) ডি.এল রায়ের 'সীতা' নাটক হইতে একটি দৃশ্য-রাম-নির্মলেন্দু লাহিড়ী
(২৫) সঙ্গীত- 'আমার রাধা নামের সাধ বাঁশী'- মিস লাইট
(২৬) কালীঘাটের মন্দির প্রাঙ্গনে - ভিখারী, ভিখারিণী ও তাহাদের কন্যা (কৃষ্ণচন্দ্র, লাইট ও পেটি)- সঙ্গীত
(২৭) 'আলমগীর' হইতে একট দৃশ্যে-অহিন্দ্র চৌধুরী ও চারুশীলা
(২৮) সঙ্গীত- 'ভোমরা আমি ফুলবাগানে'-বিজয় মুখার্জী
(২৯) বিদ্যালয় ছাত্রীগণ কর্ত্তৃক ঐক্যতান বাদন
(৩০) 'চন্দ্রগুপ্তের' একটি দৃশ্যে- নরেশ মিত্র, ধীরাজ ভট্টাচার্য ও শ্যাম
(৩১) বালিকা আয়া ও মাস্টার ফুল্লু- সঙ্গীত ও সঙ্গত