বিষয়: নজরুল সঙ্গীত।
শিরোনাম: শ্যাম তন্বী আমি মেঘ বরণা
শ্যামা তন্বী আমি মেঘ-বর্ণা।
দৃষ্টিতে১ বৃষ্টির ঝরে ঝরনা॥
অম্বরে জলদ মৃদঙ্গ বাজাই,
কদম-কেয়ায় বন-ডালা সাজাই,
হাসে শস্যে কুসুমে ধরা নিরাভরণা॥
পুবালি হাওয়ায় ওড়ে কালো কুন্তল,
বিজলি ও মেঘ - মুখে হাসি চোখে জল।
রিমিঝিমি নেচে যাই চল-চরণা॥
১. মোর দৃষ্টিতে
-
ভাবার্থ: এই গানটিতে বর্ষাকে নৃত্যশীলা শ্যামা তন্বী আমি মেঘ-বর্ণা
বর্ষাকন্যা রূপে উপস্থাপন করা হয়েছে। মেঘ-রঙা অঙ্গ-সৌন্দর্যে এই শ্যামল
বর্ষাবালিকার দৃষ্টিপাতে বৃষ্টি ঝরে পড়ে। আকাশে সে মেঘের মেঘ-মৃদঙ্গ বাজায় সে।
প্রকৃতির বনডালা সাজায় সে কদম-কেয়া দিয়ে। তারই কল্যাণে নিরাভরণা ধরিত্রী- হাসে
শস্যে। কুসুমের আভরণে সুসজ্জিতা হয়ে ওঠে ধরিত্রী। পুবালি হাওয়া দোলে তার কালো
মেঘের কেশরাশি। বিজুলি তার হাসি, আর মেঘে থাকে তার অশ্রুপাতের জল।
বৃষ্টি-নুপূরের রিমিঝিমি ছন্দে প্রকৃতির অঙ্গনে তার পদসঞ্চার।
-
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে
সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না।
১৩৪১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর
১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ) গানটি
গানের মালা
প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়েছিল। এই সময় নজরুলের বয়স ছিল ৩৫ বৎসর ৪ মাস।
- গ্রন্থ:
-
গানের মালা
- প্রথম সংস্করণ আশ্বিন ১৩৪১ বঙ্গাব্দ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ১৯৩৪ খ্রিষ্টাব্দ)। ৫৪। (বর্ষা) মেঘ-ত্রিতালী।
- নজরুল রচনাবলী। জন্মশতবর্ষ সংকলন ষষ্ঠ খণ্ড। বাংলা একাডেমী, ঢাকা। জ্যৈষ্ঠ ১৪১৯, জুন
২০১২। গানের মালা।
৫৪। (বর্ষা) মেঘ-ত্রিতালী। পৃষ্ঠা ২২৪-২২৫।]
- নজরুল-সঙ্গীত সংগ্রহ, [নজরুল ইনস্টিটিউট, মাঘ ১৪১৮।
ফেব্রুয়ারি ২০১২। ১৭৫১ সংখ্যক গান।
রাগ: মেঘ, তাল: ত্রিতাল। পৃষ্ঠা: ৫২০-৫২১।